কুরআনে মহাবিশ্বের সীমানা

কুরআনে মহাবিশ্বের সীমানা, কুরানের চ্যালেঞ্জ
يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ إِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَن تَنفُذُوا مِنْ أَقْطَارِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ فَانفُذُوا لَا تَنفُذُونَ إِلَّا بِسُلْطَانٍ
হে জিন ও মানবকূল, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সীমানা অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায়, তবে অতিক্রম কর। কিন্তু ছাড়পত্র ব্যতীত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না। [সুরাআর-রহমান – ৫৫:৩৩]

O company of jinn and mankind, if you are able to pass beyond the regions of the heavens and the earth, then pass. You will not pass except by authority [from Allah ]

সূরা আর-রহমানের ৩৩ নাম্বার আয়াতে একটি চ্যালেঞ্জ দেয়া হয়েছে যে, মানুষ কখনই মহাবিশ্বের সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না।
ব্যাপারটা অত্যন্ত বিস্ময়কর । মানুষের পক্ষে যে এই চ্যালেঞ্জ ভেঙ্গে ফেলা সম্ভব না এ কথা কিন্তু আমরা সবাই আজকে নিশ্চিত।
অথচ পবিত্র কুরআন যখন নাযীল হয় তখন মহাবিশ্বের ব্যাপ্তি বা সীমানা নিয়ে মানুষের কোনই ধারনা ছিল না। রাতের আকাশে দেখতে পাওয়া গ্রহ-নক্ষত্র কতটা দূরে অবস্থান করছে সে সম্পর্কে বিন্দু মাত্র কোন জ্ঞান ছিল না তখনকার মানুষের।
টেলিস্কোপ আবিষ্কারের পর থেকে মানুষ প্রথম গ্রহ আর নক্ষত্রের দূরত্ব সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পেতে শুরু করে। ১৬০৯ সালের দিকে বিজ্ঞানী Galileo Galilei প্রথম মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য টেলিস্কোপের ব্যাবহার শুরুকরেছিলেন। ১৯২৫ সালে Edwin Hubble আমাদের সবচেয়ে কাছের গ্যালাক্সি আবিষ্কার করেন, যার নাম হচ্ছে এনড্রমিডা ( Andromeda Galaxy)। আমাদের সবচেয়ে কাছের এইগ্যালাক্সিটিরই দূরত্ব হিসাব করে দেখা গেছে সেটি প্রায়২.৫ মিলিয়ন আলোক বর্ষ দূরে অবস্থান করছে। অর্থাৎ আলোর গতিতে ছুটতে থাকলেও সবচেয়ে কাছের এনড্রমিডা গ্যালাক্সিতে পৌঁছাতে সময় লাগবে ২.৫ মিলিয়ন বছর।তারমানে আসলে মানুষ কখনই সবচেয়ে কাছের গ্যালাক্সিতেই পৌছাতে পারবে না। বিলিয়ন বিলিয়ন বছর দূরের গ্যালাক্সির কথা না হয় বাদই দিলাম।
মহাবিশ্বের সীমানা (৫৫:৩৩)কুরআনে মহাবিশ্বের সীমানা, কুরানের চ্যালেঞ্জ
ছবিঃ এনড্রমিডা ( Andromeda Galaxy)। আমাদের সবচেয়ে কাছের এইগ্যালাক্সিটি প্রায়  ২.৫ মিলিয়ন আলোক বর্ষ দূরে অবস্থান করছে।
আমাদের নিজেদের গ্যালাক্সির কেন্দ্রে আলোর গতিতে ছুটতে থাকলে পৌঁছাতে সময় লাগবে ২৬০০০ আলোকবর্ষ। তাই সবচেয়ে দ্রুত গতির রকেটে চড়েও আমাদের পক্ষে সৃষ্টির সীমানা পেরিয়া যাওয়া সম্ভব নয়।
মোটকথা ১৪০০ বছর মহাকাশের বিশালতা নিয়ে কোন ধারনা না থাকা স্বত্বেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়াটা প্রমাণ করে পবিত্র কোরআন আসলে মানব রচিত কোন গ্রন্থ নয়, বরং এটি মহান আল্লাহ পক্ষ থেকে নাযীলকৃত কিতাব, যিনি মহাবিশ্বের সীমানা নিয়ে পুরোপুরি ধারনা রাখেন।

One thought on “কুরআনে মহাবিশ্বের সীমানা

  1. কোরানের বিজ্ঞান সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানা খুবই প্রযোজন। বিষয়গুলি আল্লাহর প্রতি ইমান আনতে অত্যন্ত সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি। আশা করি প্রতিটি বিষয় সকলের জানা খুবই প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »