সূরা আল-কাওসার। কোরআনের অন্যতম ছোট সূরা। এর আয়াত সংখ্যা মাত্র তিনটি । এতে বলা হয়েছে–
নিশ্চয় আমি তোমাকে আল-কাউসার দান করেছি।
সুতরাং তোমার রবের উদ্দেশে সালাত আদায় কর এবং কুরবানী কর।
নিশ্চয় তোমার প্রতি শত্রুতা পোষণকারীই নির্বংশ।
তিন আয়াত বিশিষ্ট এই সূরার দ্বিতীয় আয়াতে কুরবানী করার জন্য আদেশ করা হয়েছে। نحر শব্দের অর্থ উট কুরবানী করা।
আর কুরবানী করা হয় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে । বিস্ময়করভাবে সূরা কাউসারের মধ্যে ১০ সংখ্যাটিকে নানা ভাবে কোড করা হয়েছে।
খেয়াল করলে দেখা যাবে, প্রতিটা আয়াতের শেষের অক্ষর হচ্ছে ‘ر’ (র)। আরবিতে ‘ ر’ হরফটি আরবি বর্ণমালার ১০ম হরফ।
তিনটা আয়াতেই আছে ১০ টি আলাদা আলাদা আরবি হরফ!
এই সূরাতে মোট শব্দের সংখ্যাও ১০ টি!!
সম্পুর্ন সূরা কাউসারে শুধুমাত্র একবার করে এসেছে এরকম হরফের সংখ্যা ১০টি!
সম্পুর্ন সূরা কাউসারে আরবি বর্ণমালার প্রথম হরফ আলিফ / হামজা আছে ১০ বার!
দ্বিতীয় আয়াতে نحر শব্দ আছে যার অর্থ কুরবানী করা, কুরবানী করা হয় জিলহাজ্জ্ব মাসের ১০ তারিখে।
দ্বিতীয় আয়াতে نحر শব্দ আছে যার অর্থ কুরবানী করা, সেটিও ১০ম স্থানে আছে!
সত্যিই বিস্ময়কর! তিনটি মাত্র আয়াতের মধ্যে ১০ সংখ্যাকে নানাভাবে হাইলাইট করা হয়েছে। ছোট্ট সূরা কাউসারই প্রমাণ করছে পবিত্র কুরআন প্রকৃতপক্ষেই আল্লাহর বাণী! এভাবে একটি সংখ্যাকে এত অসংখ্যবার কোডের আকারে প্রকাশ করা কোন মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয়। আর এ কারনেই মহান আল্লাহ ১৪০০ বছর আগেই চ্যালেঞ্জ দিয়ে রেখেছেন কুরআনের ১০ নাম্বার সূরা (!!) ইউনূসের ৩৮ নাম্বার আয়াতে–
সুবহানাল্লাহ
الله اكبر