বক্ষ সংকীর্ন ও উর্ধ্বে গমন। সূরা আনআম আয়াত ১২৫

 

সুরা আনআমএর ১২৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে-

অতঃপর আল্লাহ যাকে পথ-প্রদর্শন করতে চান, তার বক্ষকে ইসলামের জন্যে উম্মুক্ত করে দেন এবং যাকে বিপথগামী করতে চান, তার বক্ষকে সংকীর্ণ অত্যধিক সংকীর্ণ করে দেন-যেন সে সবেগে আকাশে আরোহণ করছে এমনি ভাবে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে না। আল্লাহ তাদের উপর আযাব বর্ষন করেন। [ সুরা আন’য়াম ৬:১২৫ ]

বক্ষ সংকীর্ন ও উর্ধ্বে গমন। সূরা আনআম আয়াত ১২৫

এই আয়াতে মানুষের বক্ষ বা চেস্টকে সংকীর্ন করে দেবার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বক্ষকে সংকীর্ণ করার সাথে সবেগে আকাশে আরোহনের কথা বলা হল কেন? বক্ষকে সংকীর্ণ করার সাথে আকাশে আরোহনের সম্পর্কই বা কি?

আমাদের বক্ষ সংকীর্ন হলে প্রথমেই যে ঘটনা ঘটবে সেটি হচ্ছে, আমরা স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারব না। এতে শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি আমাদের শরীরে অক্সিজেনের পরিমানও কমে যাবে।

আকাশে আরোহন বা উপরের দিকে উঠার সাথে শ্বাসকষ্টের একটা রিলেশন আছে। সেটি হচ্ছে বাতাসের অক্সিজেন কনসেন্ট্রেশন এবং বাতাসের চাপ।

ভূ-পৃষ্ঠ থেকে যতই উপরের দিকে উঠা হয়, ততই বাতাসের চাপ এবং অক্সিজেন কনসেন্ট্রেশন কমতে থাকে। ফলে বাড়তি অক্সিজেন ও বাতাসের চাপ ছাড়া মানুষের পক্ষে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রস্বাস নেয়া প্রায় অসম্ভব। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ যদি ২৫০০ মিটার বা ৮২০০ ফুট উচ্চতা অতিক্রম করে তবে মানুষের ফুসফুসে পানি জমে যায় যাকে High altitude pulmonary edema (HAPE) বলে। ফলে আরোহীর শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। এমনকি শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হতে পারে। তাই সবসময় প্লেন ও মহাকাশযান প্রেশারাইজ করা থাকে এবং কৃত্তিম অক্সিজেনের ব্যবস্থা থাকে। তাছাড়া উঁচু পাহাড়, এভারেস্টে আরোহীরা সবসময় কৃত্তিম অক্সিজেন বহন করে থাকে।

উর্ধে গমন, শ্বাস কষ্ট, কোরআন

মানুষ যতই উর্ধে গমন করবে ততই তার শ্বাস-প্রস্বাসে অসুবিধা হবে এমন তথ্য ১৪০০ বছর আগে কার যানা থাকার কথা নয়। তাই কোরানের অনেক মিরাকলের মত এই আয়াতটিও একটি মিরাকল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »