প্রাণবন্ত সবকিছু পানি থেকে সৃষ্টি

 

أَوَلَمۡ يَرَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓاْ أَنَّ ٱلسَّمَـٰوَٲتِ وَٱلۡأَرۡضَ ڪَانَتَا رَتۡقً۬ا فَفَتَقۡنَـٰهُمَا‌ۖ وَجَعَلۡنَا مِنَ ٱلۡمَآءِ كُلَّ شَىۡءٍ حَىٍّ‌ۖ أَفَلَا يُؤۡمِنُونَ

কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী একসাথে মিশে ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না? [ সুরা আম্বিয়া ২১:৩০ ]

যেখানেই পানি সেখানেই প্রাণ এ সত্যটা আজকে সবাই জানে। পৃথিবীর বাইরে অন্যকোন গ্রহে যখন প্রাণের অনুসন্ধান করা হয়, তখন প্রথমেই দেখা হয় সেখানে পানি অথবা বরফ আছে কিনা। যদি পানি না থাকে তাহলে সেখানে কোন প্রাণের বিকাশ হবে না, এমনটাই ধরে নেয়া হয়। আমাদের পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগই হচ্ছে পানি। তাই এই বিপুল প্রজাতির বৈচিত্রপুর্ন প্রাণের বিকাশ হয়েছে পৃথিবীতে।

এখন কথা হচ্ছে কোরান তো সেই ১৪০০ বছর আগে নাযীল হওয়া একটা গ্রন্থ। তাও এটা নাযীল হয় আরবের মরূময় পরিবেশে। তারচেও বড় কথা প্রাণের উৎস যে পানি, তা সেসময়ের মানুষের জানার কথা নয়। অথচ কোরানের আয়াতে স্পস্ট করেই বলা হচ্ছে সমস্ত প্রাণের উৎস পানি।

অনেকেই হয়ত বলতে পারেন গ্রিক এস্ট্রনোমার ও গণিতবিদ থেলিস ( জন্ম খৃষ্টপুর্ব ৬২৪ সাল) অনেক আগেই পানির কথা বলেছিলেন। কিন্তু থেলিস বলতেন পৃথিবীর সব পদার্থের আদি উপাদান হচ্ছে পানি। কিন্তু আমরা জানি পৃথিবীর সব পদার্থের  আদি উপাদান পানি নয়, এবং কোরানেও এ কথা বলা হয়নি। তাই কোরানে থেলিসের তত্ত্ব কোরানে নকল করা হয়েছে এমনটা দাবী করা হাস্যকর।

পবিত্র কোরান যে কতটা মিরাকুলাস সেটা অনুধাবন করার জন্য এবার সুরা আম্বিয়ার ৩০নং আয়াতকে আরো গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা যাক। আমরা জানি পানির মলিকিউলার ওয়েট প্রায় ১৮।  কোরানে অনেক বৈজ্ঞানিক তথ্যই কোডের আকারে দেয়া আছে। আমরা যদি এই আয়াতের শেষ থেকে অক্ষর গণনা করি তাহলে দেখব পানি (ٱلۡمَآءِ) শব্দের শেষ অক্ষরটি ঠিক ১৮ তম স্থানে আছে। যদিও ব্যাপারটি হতে পারে নিতান্ত কো-ইন্সিডেন্স!

পানি, মলিকিউলার ওয়েট

ছবিঃ ২১:৩০ আয়াতের শেষ দিক থেকে অক্ষর গুণে আসলে দেখা যায় ‘পানি’ (ٱلۡمَآءِ) শব্দটির শেষ অক্ষর ১৮ তম স্থানে আছে। পানির মলিকিউলার ওয়েট প্রায় ১৮!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »