সূরা কাহফে জুলকারনাইনের কথা বলা হয়েছে। তিনি একটি সম্প্রদায়কে ইয়াজুজ-মাজুজের আক্রমণ থেকে রক্ষা করবার জন্য দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে প্রাচীর নির্মান করেছিলেন। এই প্রাচীরকে ইয়াজুজ মাজুজের প্রাচীর ও বলা হয়। জুলকারনাইন বলেছিলেন- —
”তোমরা আমাকে শক্তি-শ্রম দিয়ে সাহায্য কর, আমি তোমাদের ও তাদের মাঝে এক সুদৃড় প্রাচীর গড়ে দিব। (কাহফ ৯৫)”
প্রাচীর নির্মান করে দেবার পরে জুলকারনাইন বলেছিলেন-
” তারা (ইয়াজুজ মাজুজ) তা অতিক্রম করতে পারবে না, আর তা ভেদও করতে পারবে না” (কাহফ ৯৭)।
অর্থাৎ জুলকারনাইন এমন একটা প্রাচীর নির্মান করেছিলেন যা একই সাথে ছিল শক্ত আর অভেদ্য।
কুরআনে মহান আল্লাহ চাইলে শুধু এতটুকু বললেই পারতেন যে, জুলকারনাইন অত্যন্ত মজবুত একটি প্রাচীর নির্মান করেছিলেন। কিন্তু মজার ব্যপার হচ্ছে জুলকারনাইন কি কি পদার্থ দিয়ে এবং কিভাবে প্রাচীর নির্মান করেছিলেন সে তথ্যও কুরআনে দেয়া হয়েছে।
প্রাচীর নির্মানে তিনি ব্যাবহার করেছিলেন লোহার পাত । লোহার পাতকে তিনি ঢেকে দিয়েছিলেন গলিত তামা দিয়ে।
তোমরা আমাকে লোহার পাত এনে দাও। অবশেষে যখন পাহাড়ের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান পূর্ণ হয়ে গেল, তখন তিনি বললেনঃ তোমরা হাঁপরে দম দিতে থাক। অবশেষে যখন তা আগুনে পরিণত হল, তখন তিনি বললেনঃ তোমরা গলিত তামা নিয়ে এস, আমি তা এর উপরে ঢেলে দেই। [ সুরা কা’হফ ১৮:৯৬ ]
জুলকারনাইনের প্রাচীরের রহস্য এখানেই। আমরা সবাই জানি লোহা অত্যন্ত শক্ত আর মজবুত। কিন্তু লোহা ক্ষয়িষ্ণু । সাধারণ পরিবেশে বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে লোহায় ক্রাস্ট বা মরিচা পড়ে লোহা ক্ষয় হতে থাকে। অন্যদিকে তামা লোহার মত শক্ত না হলেও, এটি অত্যন্ত ক্ষয়রোধী (Corrosion resistance)। গুগলে তামার গুনাগুন (property of copper) লিখে সার্চ দিলে খুব সহজেই এ তথ্য পাওয়া যাবে।
![জুলকারনাইনের প্রাচীর ও ইয়াজুজ মাজুজ](https://www.quranmiraclescience.com/wp-content/uploads/2021/02/Zulkernain-2-1.jpg)