সূরা কিয়ামাত পবিত্র কোরআনের ৭৫ নাম্বার সূরা। এই সূরাটিতে বেশ কয়েকটি আয়াতে “মানুষ” বা “আল-ইনসান” শব্দটি আছে। পবিত্র কোরআন একটি রহস্যময় এনকোডেড গ্রন্থ। অন্যান্য অনেক সূরার মত এই সূরাতেও মানুষের জেনেটিক কোড বা ক্রোমোজোম নাম্বারের দিকে ইংগিত করা হয়েছে। আমরা দেখব সেটি কিভাবে–
সূরা কিয়ামাতের ৩য়, ৫ম, ১০ম, ১৩তম এবং ১৪তম আয়াতে “মানুষ” বা “আল-ইনসান” ٱلۡإِنسَـٰنُ শব্দটি আছে।
প্রথম আয়াতের একদম শুরু থেকে অক্ষর সংখ্যা গনণা করলে মানুষের ডিপ্লয়েড ক্রোমোজোম নাম্বার ৪৬ সংখ্যাটি ৩য় আয়াতের ” মানুষ” ٱلۡإِنسَـٰنُ শব্দটির মধ্যেই পাওয়া যায়।
আবার ৩য় আয়াতের “মানুষ” শব্দটির পর থেকে ৫ম আয়াতে মানুষের ক্রোমোজোম নাম্বার ৪৬ সংখ্যাটি “মানুষ” শব্দটির মধ্যেই পাওয়া যায়।
আবার আমরা যদি ১০ম আয়াতের “মানুষ” (ٱلۡإِنسَـٰنُ) শব্দটির পর থেকে অক্ষর সংখ্যা গণনা করি, তাহলে এবারও ৪৬ সংখ্যাটি ১৩তম আয়াতের “মানুষ” শব্দটির মধ্যেই পাওয়া যায়।
অত্যন্ত বিস্ময়করভাবে আমরা যদি ১৩তম আয়াতের “মানুষ” (ٱلۡإِنسَـٰنُ)শব্দটির পর থেকে অক্ষর সংখ্যা গণনা করি, তাহলে ২৩ সংখ্যাটি ১৪তম আয়াতের ” মানুষ” শব্দটির মধ্যেই পাওয়া যায়। আর মানুষের ক্রোমোজোম সংখ্যা ২৩ জোড়া বা ৪৬টি।
অর্থাৎ আমরা দেখতে পাচ্ছি বারবার “মানুষ” (ٱلۡإِنسَـٰنُ) শব্দটির সাথে ২৩ এবং ৪৬ সংখ্যা দুটির যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।
কোরআন মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত গ্রন্থ বলেই এরকম মিরাকল পবিত্র কুরআনে খুঁজে পাওয়া যায়।
Related post–
কুরআনের আয়াতে মানুষের ক্রোমোজোম সংখ্যা
সূরা কিয়ামতে জেনেটিক কোড
আল ইনসান সূরায় লুকিয়ে থাকা মানুষের জেনেটিক কোড
2 thoughts on “সূরা কিয়ামাতে জেনেটিক কোড, মানুষের ক্রোমোজোম সংখ্যা”