সূরা আশ-শাম্স (আরবি: الشمس) কুরআনের ৯১ তম সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ১৫টি । আশ-শাম্স শব্দের অর্থ ‘সূর্য (The Sun)’ ।
বিস্ময়করভাবে আশ-শাম্স সূরায় সূর্য সংক্রান্ত বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক তথ্যের দিকে ইংগিত করা হয়েছে-
১/ আমরা জানি সূর্যের বয়স ৪.৬ বিলিয়ন বছর আর মহাবিশ্বের বয়স ১৩.৭ বিলিয়ন বছর। আশ-শাম্স বা ‘সূর্য’ অর্থাৎ মহাবিশ্ব সৃষ্টির ১৩.৭-৪.৬= ৯.১ বিলিয়ন বা ৯১ মিলিয়ন বছর পর সূর্যের সৃষ্টি হয়েছে। আশ-শাম্স কুরআনের ৯১তম সূরা!
২/ পৃথিবী বৃত্তাকার ( Circular) কক্ষপথের পরিবর্তে সূর্যের চারপাশে একটি উপবৃত্তাকার (Elliptical) কক্ষপথ অনুসরণ করে। ফলে বছরের একটি সময়ে পৃথিবী সূর্যের কাছে আবার আরেক সময়ে দূরে সরে যায়। পৃথিবী আর সূর্যের সবচেয়ে কাছের অবস্থানকে বলা হয় Perihelion. মজার ব্যাপার হচ্ছে পৃথিবী আর সূর্যের সবচেয়ে নিকটতম (Perihelion) দূরত্ব হচ্ছে প্রায় ৯১.৪ মিলিয়ন মাইল!
৩/ পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার (১৫০ মিলিয়ন কিমি)। আশ-শাম্স সূরার আয়াত সংখ্যা হচ্ছে ১৫টি!
৪/ সূর্যের কেন্দ্রে তাপমাত্রা ১৫ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস।আশ-শাম্স সূরার আয়াত সংখ্যা হচ্ছে ১৫টি!
৫/ সূর্যের মূল গঠন উপাদানের একটি হচ্ছে হাইড্রজেন (H)। হাইড্রজেন মলিকিউল লিখতে ইংরেজীতে H অক্ষর ব্যবহার করা হয় , আর আরবীতে ‘হা’ ‘هَا’ অক্ষর ব্যবহার করা হয় هيدروجين। সূরা আশ-শাম্স এর প্রতিটা আয়াতের শেষে ‘هَا’ অক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে।
৬/ সূর্যের বয়স ৪.৬ বিলিয়ন বছর। সূরা আশ-শাম্স এর প্রথম আয়াতে ‘সূর্য’ বা الشمس শব্দটি আছে। আমরা যদি আয়াতের শুরু থেকে অক্ষর সংখ্যা গণনা করি তাহলে দেখব ৪ এবং ৬ সংখ্যা দুটি الشمس শব্দের মধ্যেই পাওয়া যায়!!
https://en.wikipedia.org/wiki/Age_of_the_universe
https://www.nbcnews.com/science/space/earth-closest-sun-perihelion-2022-rcna10886
আল্লাহু আকবার